পটুয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা রাঙ্গাবালী। নদী আর সাগর বেষ্টিত এ দ্বীপের দুই লাখ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ ও স্পিডবোট। দুর্যোগ মৌসুমে ভয়াল আগুনমুখা নদী দিয়ে নৌযানে পারাপার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই ঝুঁকিকে জীবনের সঙ্গী বানিয়ে নিয়েছেন তারা। ভোগান্তি তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন এ জনপদকে সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মেলবন্ধন করতে প্রয়োজন আগুনমুখা নদীতে ফেরিসেবা চালু। এতে একদিকে এখানকার মানুষ পদ্মা সেতুর শতভাগ সুফল পাবে, অন্যদিকে দ্বীপটির সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ তৈরির মাধ্যমে খুলে যাবে পর্যটনের সম্ভাবনার দুয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা শহর থেকে নৌপথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। দ্বীপে প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। দেশের যেকোনো প্রান্তে যেতে তাদের ভয়াল আগুনমুখা নদী পাড়ি দিতে হয়। দুর্যোগ মৌসুমে জীবনবাজি রেখে উত্তাল এ নদী পাড়ি দিতে হয়। যোগাযোগ সমস্যায় পিছিয়ে থাকা দ্বীপটি পর্যটন, কৃষি ও মৎস্য খাতে সম্ভাবনাময়। আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, রামনাবাদ ও দারছিড়া নদীসহ বিস্তীর্ণ বঙ্গোপসাগর থেকে শত শত কোটি টাকার ইলিশ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত হয়। রাঙ্গাবালীর কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি নৌরুটে আগুনমুখা নদীতে ফেরিসেবা চালু হলে তাজা ইলিশ ঢাকায় পৌঁছতে সময় লাগবে সাত থেকে আট ঘণ্টা, যা এখন লাগছে প্রায় ১৮ ঘণ্টা। যোগাযোগ সমস্যার কারণে এ এলাকার পর্যটন স্পটগুলো মানুষের কাছে অপরিচিত।