নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ 'ট্রলনেট' জাল দিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার অভিযোগে পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ১৫ জেলেকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৎস্য দপ্তর ও নৌ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওইসব জেলেদের আটক করেন।
এ সময় আটককৃত জেলেসহ ট্রলডোর যুক্ত একটি ট্রলার (বোট), বিপুল পরিমাণ মাছ, জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও থানা সূত্র জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ১ নম্বর স্লুইস গেট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযানকালে এফবি মায়ের আশির্বাদ-৩ নামের ট্রলডোরযুক্ত কাঠের বডির সাড়ে ১০ মিটার লম্বা একটি ট্রলার (ফিশিং বোট), নিষিদ্ধ ঘোষিত ৬ টি ট্রলনেট, ৪০ টি লাল সুতার জাল, ১২০ মন ওজনের ১২০ ক্যারেট সামুদ্রিক মাছসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় ফিশিংবোট থেকে ১৫ জন জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেরা পার্শ্ববর্তী ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামের বাসিন্দা। আটক জেলেরা হচ্ছে, মো. হান্নান, মো. মোস্তফা, মো. সালাহউদ্দিন, মো. আকবর, মো. সুজন মাদবর, মো. বেল্লাল, আবুল কালাম, আব্বাস, সুমন মোল্লা, জাহাঙ্গীর আলম, মিরাজ, মো. নূর নবী, আবদুল মালেক, মো.আক্তার আলী ও মো. ইয়াসিন।
অভিযানের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুননবী জানান, বাংলাদেশে ট্রলনেট জাল ও ট্রলডোরযুক্ত ফিশিংবোট দুটোই নিষিদ্ধ। মৎস্য দপ্তর থেকে এই জাল ও ফিশিংবোট ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয় না। অথচ আসামিরা এই ধরনের বোট ও নেট ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছিল। এতে মৎস্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি আরও জানান, জব্দ মালামাল চরমোন্তাজ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আসাদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটক আসামিদের আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।