মা ইলিশ রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত। জেলেরা বলছেন, মৌসুমজুড়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েনি তাদের জালে। শেষ মুহূর্তে জালে যখন মাছ ধরা পড়ছে, ঠিক তখনি নিষেধাজ্ঞায় হতাশ তারা। জেলেদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রতিবেশী দেশ ভারতের জেলেরা বাংলাদেশী জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে। অথচ বাংলাদেশের জেলেরা তখন বেকার দিন পার করে। তাই অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি তাদের। ইলিশের ভরা মৌসুম শেষ। পুরো মৌসুম হতাশায় কাটলেও শেষের এক সপ্তাহে মিলেছে ইলিশ।
প্রজননের জন্য আশ্বিনের পূর্ণিমায় সাগরের নোনা পানি থেকে নদীর মিঠা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। এইসময়ের নিরাপদ প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত নদ-নদী ও সাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তাই একে একে জেলে ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরে আসছে।
জেলেরা জানান, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ইলিশ মৌসুম হলেও এ বছর হতাশ তারা। একদিকে বৈরী আবহাওয়া, অন্যদিকে প্রাকৃতিক কারণে জালে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়েনি। তবে অক্টোবরে এসে এক সপ্তাহে যখন মাছ ধরা পড়ছিল, ঠিক তখনই নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
এছাড়াও জেলেদের অভিযোগ, ভারতের জেলেরা বাংলাদেশী জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে। নিষেধাজ্ঞাকালীন বাংলাদেশী জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মেনে চললেও তারা বিগত নিষেধাজ্ঞায় মাছ ধরেছে। এবার যেন সেই সুযোগ না পায়, এই দাবি জেলেদের।
মৎস্য বিভাগ জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন এ উপজেলার ১১ হাজার ৬৬৬ জন জেলেকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
উল্লেখ, এই উপজেলায় ১৬ হাজার ৮০৯ জন নিবন্ধিত জেলে। এরমধ্যে ৫ হাজার ১৬৩ জন নিবন্ধিত জেলেসহ অনিবন্ধিত অসংখ্য জেলে নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি খাদ্য সহয়তা থেকে বঞ্চিত হবেন।