পটুয়াখালী: আবহাওয়ার সর্বশেষ বুলেটিন বলছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে ‘দানা’য় রূপ নিয়েছে।
তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পটুয়াখালী জেলায় ৮২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, প্রায় ৯ হাজার জন সিপিপি সদস্য ও পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম, উদ্ধার কর্মী ও সংকেত প্রচারণায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত আশ্রয়কেন্দ্রে চার লাখ ১৫ হাজার দুর্গত মানুষ এবং লক্ষাধিক গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
এসব জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা নিজ দপ্তরের প্রস্তুতি তথ্য তুলে ধরেন। দুর্যোগ মোকাবিলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিদিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রের পরেও প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি- বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগকালীন সময়ে শুকনো খাবারের জন্য ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিআর চাল ৮০০ মেট্রিক টন, শুকানো খাবার এক হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য বাবদ পাঁচ লাখ ও গবাদিপশুর খাদ্য বাবদ পাঁচ লাখ টাকা মজুদ আছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রয়োজনে সরকারের কাছ নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবারের চাহিদা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে বলেও জানান তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ জরুরি মেরামত ও নলকূপগুলোতে লবণপানি প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও বিদ্যুৎ বিভাগকে দ্রুত সেবা দিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল নিয়ে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকারও নির্দেশনা প্রদান করেন।